গণিত

About This Course

প্রসঙ্গ কথা

বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার উপযোগ বন্ুমাত্রিক। শুধু ear পরিবেশন নয়, দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার
মাধ্যমে সমৃদ্ধ জাতিগঠন এই শিক্ষার মুল উদ্দেশ্য | একই সাথে মানবিক ও বিজ্ঞানমনদ্ধ সমাজগঠন নিশ্চিত
করার প্রধান অব্লম্বনও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা | বর্তমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর বিশে জাতি হিসেবে মাথা তুলে
দাঁড়াতে হলে আমাদের মানসম্মত্ত শিক্ষা নিশ্চিত করা প্রয়োজন | এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেম, মূল্যবোধ
ও নৈতিকত্রার শক্তিতে Gene করে তোলাও জরুরি |

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড 'আর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রাণ শিক্ষাক্রম | আর শিল্পাক্রম বাস্তবায়নের সবচেয়ে গুরুতুপূর্ণ
উপকরণ হলো পাঠাবই। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এর উদ্দেশ্যসমূহ সামনে রেখে গৃহীত হয়েছে একটি
লক্ষ্যাভিসারী শিক্ষাক্রম | এর আলোকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুন্ভক বোর্ড (এনসিটিবি) মানসম্পন্ন eT
প্রণয়ন, মুদ্রণ ও বিতরণের কাজটি নিষ্ঠার সাথে করে যাচ্ছে সময়ের চাহিদা ও বাস্তবতার আলোকে শিক্ষাক্রম,
পাঠ্যুপুন্তক ‏ه‎ মুল্যায়নপদ্ধাতির পরিবর্তন, পরিমার্জন ও পরিশোধুনের কাজটিও এই প্রতিষ্ঠান করে থাকে |

বাংলাদেশের শিক্ষার ভ্রবিন্যাসে মাধ্যমিক walt বিশেষ গুরুতৃুপূর্ণ। বইটি এই স্তরের শিক্ষার্থীদের বয়ন,
মানসপ্রবণতা ও কৌতৃহলের সাথে সংগতিপূর্ণ এবং একইসাথে শিক্ষান্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের সহায়ক |
বিষয়জ্ঞানে সমৃদ্ধ শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞণণ বইটি রচনা ও সম্পাদনা করেছেন | আশা করি বইটি বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান
পরিবেশনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মনন ও সুজনের বিকাশে বিশেষ ভুমিকা রাখবে |

জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশে গণিতের ভূমিকা অতীব eget) পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে
পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে গণিতের প্রয়োগ বর্তমান সময়ে অনেক বেড়েছে। এই সব বিষয় বিবেচনায় রেখে
মাধ্যমিক পর্যায়ে ষষ্ট শ্রেণির গণিত পাঠ্যপুন্চকটি সহজ ও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং বেশ কিছু নতুন
বিষয় এতে FSS করা হয়েছে।

পাঠ্যবই যাতে জবরদস্ভিমুলক ও ক্লান্তিকর অনুষঙ্গ না হয়ে উঠে বরং আনন্দাশ্রয়ী হয়ে ওঠে, বইটি রচনার সময়
সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য-উপান্র সহযোগে বিষয়বন্ধ উপস্থাপন করা হয়েছে। চেষ্টা করা
হয়েছে বইটিকে যথাসম্ভব দুর্বোধ্যত্ামুক্ত ও সাবলীল ভাষায় লিখতে | ২০২৪ সালের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে
প্রয়োজনের নিরিখে পাঠ্যপুন্তকসমূহ পরিমার্জন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রণীত
পাশ্যাপুস্তকের সর্বশেষ সংক্ষরণকে ভিত্তি হিসেবে গ্রহ্ণ করা হয়েছে। বানানের ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমির প্রমিত
বানানরীতি অনুসৃত হয়েছে। যথাযথ সতর্কতা 'অবলম্বনের পরেও তথ্য-উপাত্ত ও ভাষাগত কিছু ভুলক্রটি থেকে
যাওয়া অসম্ভব ay | পরবর্তী সংক্ষরাণে বইটিকে যথাসন্ত্ব ক্রটিমুক্ত করার আন্তরিক প্রয়াস থাকবে | এই বইয়ের
মানোন্নয়নে ঘে কোনো ধরনের যৌক্তিক পরামর্শ কৃতজ্ঞতার সাথে গৃহীত হবে |

পরিশেষে বইটি রচনা, সম্পাদনা ও অলংকরণে যারা অবদান রেখেছেন তাঁদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই |

অক্টোবর ২০২৪ প্রফেসর ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান

চেয়ারম্যান
Brey শিক্ষাক্রম ও পাঠাপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ