বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অষ্টম শ্রেণি

About This Course

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক ২০১২ শিক্ষাবর্ষ থেকে
অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকরূপে নির্ধারিত

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অষ্টম শ্রেণি

২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য পরিমার্জিত

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ

Extracted Text from Image 3
Detected Language: The language of the provided text is bengali.
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড
৬৯-৭০, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
কর্তৃক প্রকাশিত

প্রকাশক কর্তৃক aay সংরক্ষিত]

প্রথম সংক্ষরণ রচনা ও সম্পাদনা
অধ্যাপক. মুনতাসীর মামুন
অধাপক শফিউল আলম
আবুল মোমেন
অধ্যাপক ড. মাহবুব সাদিক
অধ্যাপক ড. মোরশেদ শফিউল হাসান
অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক
সৈয়দ মাহফুজ আলী
প্রফেসর মমতাজউদীন পাটোয়ারী
অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোকানদেম হোসেন
অধ্যাপক ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ
অধ্যাপক ড. আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন

ড. সেলিনা আখতার

ফাহমিদা হক

ড. উত্তম কুমার দাশ

আনোয়ারুল হক

দা সীতা ইমাম
প্রথম প্রকাশ $. আক্টোবর, ২০১১
পরিমার্জিত সংক্করণ : সেপ্টেম্বর, ২০১৪
পরিমার্জিত সংস্করণ : নভেম্বর, ২০২০
পরিমার্জিত সংস্করণ ; অক্টোবর, ২০২৪

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিনামূল্যে বিতরণের জনা

Extracted Text from Image 4
Detected Language: The language of the provided text is bengali.
প্রসঙ্গ কথা

বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার উপযোগ বহুমাত্রিক। শুধু জ্ঞান পরিবেশন নয়, দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার
মাধ্যমে সমৃদ্ধ জাতিগঠন এই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য | একই সাথে মানবিক ও বিজ্ঞানমনক্ষ সমাজগঠন নিশ্চিত
করার প্রধান অবলম্বনও প্রাতিষ্ঠানিক Fray | বর্তমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর বিন্বে জাতি হিসেবে মাথা তুলে
দাঁড়াতে হলে আমাদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা প্রয়োজন | এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেম, মূল্যবোধ
ও নৈতিকতার শক্তিতে উজ্জীবিত করে তোলাও জরুরি।

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড আর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রাণ শিক্ষাক্রম | আর শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
উপকরণ হলো পাঠ্যবই। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এর উদ্দেশ্যসমূহ সামনে রেখে গৃহীত হয়েছে একটি
লক্ষ্যাভিসারী শিক্ষাক্রম | এর আলোকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্াপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) মানসম্পন্ন পাঠাপুস্তক
প্রণয়ন, মুদ্রণ ও বিতরণের কাভটি নিষ্ঠার সাথে করে যাচ্ছে। সময়ের চাহিদা ও বান্তবতার আলোকে শিক্ষাক্রম,
পাঠ্যপুস্তক ও মূল্যায়নপদ্ধতির পরিবর্তন, পরিমার্জন ও পরিশোধনের কাজটিও এই প্রতিষ্ঠান করে থাকে |

বাংলাদেশের শিক্ষার স্তরবিন্যাসে মাধ্যমিক ভ্রটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ | বইটি এই ভরের শিক্ষার্থীদের বয়স,
মানসপ্রবণতা ও কৌতৃহলের সাথে সংগতিপূর্ণ এবং একইসাথে শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের সহায়ক।
বিষয়জ্ঞানে সমৃদ্ধ শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞগণ বইটি রচনা ও সম্পাদনা করেছেন। আশা করি বইটি বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান
পরিবেশনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মনন ও সূজনের বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখবে |

অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় শীর্ষক পাঠাপুন্তক প্রণয়নে সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস, পৌরনীতি, অর্থনীতি
ও ভ্রনসংখ্যার সাথে সম্পৃক্ত বিষয়গুলো সমস্িতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা
বাংলাদেশের সমাজ ও পরিবেশ, ইতিহাস-এতিহ্য, সংস্কৃতি, আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে
পরিচ্ছন্ন ধারণা লাভ করতে পারবে। পাশাপাশি তারা বৃহৎ পরিসরে নিজের অবস্থান ও পরিচিতি নির্মাণে সক্ষম
হবে। আশা করা যায়, বিষয়বস্ত চর্চার মাধামে তারা নিজেদেরকে দায়িত্বশীল বিশ্বনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে
পারবে। অর্জিত জ্ঞান ব্যবহার করে নিজ সমাজের অগ্রগতি এবং বিশ্বসমাজের সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা
পালনেও সক্ষম হবে।

সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়েছে। সর্বশেষ তথা-উপাত্ত সহযোগে বিষয়বন্ত উপস্থাপন করা হয়েছে। চেষ্টা করা
হয়েছে বইটিকে যথাসম্ব দুর্বোধাতামুক্ত ও সাবলীল ভাষায় লিখতে | ২০২৪ সালের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে
প্রয়োজনের নিরিখে পাঠাপুস্কসমূহ পরিমার্জন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম অনুষাযী প্রণীত
MOTTA সর্বশেষ সংক্ষরণকে ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। বানানের ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমির প্রমিত
বানানরীতি অনুসৃত হয়েছে। যথাযথ সতর্কতা অবলম্বনের পরেও তথা-উপান্ত ও ভাষাগত কিছু ভুলক্রটি থেকে
যাওয়া অসম্ভব নয়। পরবর্তী সংস্করণে বইটিকে যথাসস্ব ক্রুিমুক্ত করার আন্তরিক প্রয়াস থাকবে | এই বইয়ের
মানোন্নয়নে যে কোনো ধরনের যৌন্তিক পরামর্শ কৃতজ্ঞতার সাথে গৃহীত হবে।

পরিশেষে বইটি রচনা, সম্পাদনা ও অলংকরণে যাঁরা অবদান রেখেছেন তাঁদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই |

অক্টোবর ২০২৪ প্রফেসর ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান

চেয়ারম্যান