Level: Secondary — Author: Writix
Level: Secondary • Duration: N/A
Author: Unknown
জাতীয় rags ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক ২০১৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে
নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকরূপে নির্ধারিত
বিজ্ঞান
নবম ও দশম শ্রেণি
২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য পরিমার্জিত
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড
৬৯-৭০ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
কর্তৃক প্রকাশিত
[প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত]
প্রথম সংক্ষরণ রচনা ও সম্পাদনা
অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমান
অধ্যাপক ড. শাহজাহান তপন
অধ্যাপক ড. সফিউর রহমান
ড. এস এম হাফিজুর রহমান
ড. মো. আব্দুল খালেক
প্রথম প্রকাশ : অক্টোবর, ২০১২,
পরিমার্জিত সংক্ষরণ : সেপ্টেম্বর, ২০১৭,
পরিমার্জিত সংস্করণ : অক্টোবর, ২০২৪
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিনামূল্যে বিতরণের জন্য
প্রসঙ্গ কথা
বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার উপযোগ বহুমাত্রিক শুধু জ্ঞান পরিবেশন নয়, দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার
মাধ্যমে সমৃদ্ধ জাতিগঠন এই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য। একই সাথে মানবিক ও বিজ্ঞানমনক্ক সমাজগঠন নিশ্চিত
করার প্রধান অবলম্বন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বর্তমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে জাতি হিসেবে মাথা তুলে
ও নৈতিকতার শক্তিতে উজ্জীবিত করে তোলাও জরুরি |
শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড আর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রাণ শিক্ষাক্রম | আর শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
উপকরণ হলো পাঠ্যবই। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এর উদ্দেশ্যসমূহ সামনে রেখে গৃহীত হয়েছে একটি
লক্ষ্যাভিসারী শিক্ষাক্রম | এর আলোকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) মানসম্পন্ন পাঠ্যপু্তক
প্রণয়ন, মুদ্রণ ও বিতরণের কাজটি নিষ্ঠার সাথে করে যাচ্ছে। সময়ের চাহিদা ও বাস্তবতার আলোকে শিক্ষাক্রম,
পাঠ্যপুস্তক ও মুল্যারনপদ্ধতির পরিবর্তন, পরিমার্জন ও পরিশোধনের কাজটিও এই প্রতিষ্ঠান করে থাকে |
বাংলাদেশের শিক্ষার স্তরবিন্যাসে মাধ্যমিক স্তরটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বইটি এই স্তরের শিক্ষার্থীদের বয়স,
মানসপ্রবণতা ও কৌতৃহলের সাথে সংগতিপূর্ণ এবং একইসাথে শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের সহায়ক।
বিষয়জ্ঞানে সমৃদ্ধ শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞগণ বইটি রচনা ও সম্পাদনা করেছেন। আশা করি বইটি বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান
পরিবেশনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মনন ও সৃজনের বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
বিজ্ঞান শিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রাকৃতিক বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে অনুসন্ধিৎসা সৃষ্টির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার
করে তোলা । নবম ও দশম শ্রেণির এই পাঠ্যপুন্তকে বিজ্ঞানের তাত্বিক দিকগুলোর পাশাপাশি শিক্ষার্থীর
Spier বৃদ্ধি ও বিজ্ঞানমনদ্ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অনুসন্ধানমূলক কাজের সাথে শিক্ষার্থীর সৃজনশীলতা
ও কল্পনা বৃদ্ধির জন্য হাতেকলমে বিভিন্ন কাজ করার সুযোগও রাখা হয়েছে।
পাঠ্যবই যাতে জবরদস্ভিমুলক ও ক্লান্তিকর অনুবঙ্গ না হয়ে উঠে বরং আনন্দাশ্রযী হয়ে ওঠে, বইটি রচনার সময়
সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য-উপাত্ত সহযোগে বিষয়বন্ত উপছ্াপন করা হয়েছে। চেষ্টা করা
হয়েছে বইটিকে যথাসন্তব দুর্বোধ্যতামুক্ত ও সাবলীল ভাষায় লিখতে। ২০২৪ সালের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে
্রয়োজনের নিরিখে পাঠ্পুস্তকসমূহ পরিমার্জন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রণীত
পাঠ্যপুস্তকের সর্বশেষ সংস্করণকে ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। বানানের ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমির প্রমিত
বানানরীতি অনুসৃত হয়েছে। বথাযথ সতর্কতা অবলম্বনের পরেও তথ্য-উপাত্ত ও ভাষাগত কিছু ভুলক্রটি থেকে
যাওয়া অসম্ভব A | পরবর্তী সংস্করণে বইটিকে যথাসম্ভব ক্রটিমুক্ত করার আন্তরিক প্রয়াস থাকবে। এই বইয়ের
মানোন্নয়নে যে কোনো ধরনের যৌক্তিক পরামর্শ কৃতজ্ঞতার সাথে গৃহীত হবে।
পরিশেষে বইটি রচনা, সম্পাদনা ও অলংকরণে যাঁরা অবদান রেখেছেন তাঁদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
অক্টোবর ২০২৪ প্রফেসর ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান
চেয়ারম্যান
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ
Duration: N/A
XP Points: 0
Participants: 0