পদার্থবিজ্ঞান নবম ও দশম শ্রেণি

About This Course

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক ২০১৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে
নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকরূপে নির্ধারিত
পদার্থবিজ্ঞান
নবম ও দশম শ্রেণি
২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য পরিমার্জিত
জাতীয় শিক্ষা্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ

=== Page 3 ===
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড
৬৯-৭০ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা
কর্তৃক প্রকাশিত
[প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত]
প্রথম সংক্ষরণ রচনা ও সম্পাদনা
ড, আলী আসগর
G, শাহজাহান তপন
ড. রানা চৌধুরী
ড. ইকরাম আলী শেখ
ড. রমা বিজয় সরকার
প্রথম প্রকাশ : সেপ্টেম্বর, ২০১২
পরিমার্জিত সংস্করণ : সেস্টেম্বর, ২০১৭
পরিমাজিত সংস্করণ : অক্টোবর, ২০২৪
গণপ্রজাতক্সী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিনামূল্যে বিতরণের জন্য

=== Page 4 ===
প্রসঙ্গ কথা
বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার উপযোগ বহুমাত্রিক | শুধু জ্ঞান পরিবেশন নয়, দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার
মাধামে সমৃদ্ধ জাতিগঠন এই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য | একই সাথে মানবিক ও বিজ্ঞানমনস্ক সমাজগঠন নিশ্চিত
করার প্রধান অবলম্্নও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা | বর্তমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে জাতি হিসেবে মাথা তুলে
দাঁড়াতে হলে আমাদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা প্রয়োজন | এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেম,
মূল্যবোধ ও নৈতিকতার শক্তিতে উজ্জীবিত করে তোলাও 5958 |
শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড আর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রাণ শিক্ষাত্রম | আর শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের সবচেয়ে
expat উপকরণ হলো পাঠ্যবই | জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এর উদ্দেশ্যসমূহ সামনে রেখে গৃহীত হয়েছে
একটি লক্ষ্যাভিসারী শিক্ষাক্রম | এর আলোকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) মানসম্পন্ন
পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন, মুদ্রণ ও বিতরণের কাজটি নিষ্ঠার সাথে করে যাচ্ছে। সময়ের চাহিদা ও বাস্তবতার আলোকে
শিক্ষাক্রম, পাঠাপুস্তক ও মূল্যায়নপদ্ধতির পরিবর্তন, পরিমার্জন ও পরিশোধনের কাজটিও এই প্রতিষ্ঠান করে
SF |
বাংলাদেশের শিক্ষার স্তরবিন্যাসে মাধামিক স্তরটি বিশেষ erpat | বইটি এই স্তরের শিক্ষার্থীদের বয়স,
মানসপ্রবণতা ও কৌতৃহলের সাথে সংগতিপূর্ণ এবং একইসাথে শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের সহায়ক |
বিষয়জ্ঞানে সমৃদ্ধ শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞগণ বইটি রচনা ও সম্পাদনা করেছেন। আশা করি বইটি বিষয়ভিত্তিক
জ্ঞান পরিবেশনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মনন ও সৃজনের বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখবে |
সভ্যতার শুরু থেকেই বিজ্ঞানের ইতিহাসে পদার্থবিজ্ঞান ওতপ্রোতভাবে জড়িত | প্রকৌশলশাস্ত্র থেকে শুরু করে
বর্তমানের বহুল আলোচিত কত্রিম বুদ্ধিমন্তা- সর্বত্রই পদার্থবিজ্ঞানের পদ্ধতি নিবিড়ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বৈশ্বিক
পদার্থবিজ্ঞানের সাথে তাল মিলিয়েই নবম ও দশম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তকটি প্রণয়ন করা হয়েছে।
বিষয়বস্তু বিন্যাস ও গ্রন্থনার ক্ষেত্রে আমাদের পরিচিত বিভিন্ন ঘটনার আলোকে পদার্থবিজ্ঞানের wise
ধারণাকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। অনুসন্ধানমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে বিষয়টির ব্যবহারিক way তুলে ধরা
হয়েছে।
পাঠ্যবই যাতে জবরদন্তিমূলক ও ক্লান্তিকর অনুষঙ্গ না হয়ে উঠে বরং আনন্দাশ্রয়ী হয়ে ওঠে, বইটি রচনার সময়
সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য-উপান্ত সহযোগে বিষয়বস্তু উপস্থাপন করা হয়েছে। চেষ্টা করা
হয়েছে বইটিকে যথাসম্ভব দুর্বোধাতামুক্ত ও সাবলীল ভাষায় লিখতে | ২০২৪ সালের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে
প্রয়োজনের নিরিখে পাঠ্যপুস্তকসমূহ পরিমার্জন করা হয়েছে | এক্ষেত্রে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রণীত
পাঠ্যপুস্তকের সর্বশেষ সংক্করণকে ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। বানানের ক্ষোত্রে বাংলা একাডেমির প্রমিত
বানানরীতি অনুসৃত হয়েছে৷ যথাযথ সতর্কতা অবলম্বনের পরেও তথ্য-উপাত্ত ও ভাষাগত কিছু ভুলক্রুটি থেকে
যাওয়া অসম্ভব নয় | পরবর্তী সংস্করণে বইটিকে যথাসম্ভব ত্রটিমুক্ত করার আন্তরিক প্রয়াস থাকবে | এই বইয়ের
মানোন্নয়নে যে কোনো ধরনের যৌক্তিক পরামর্শ কৃতজ্ঞতার সাথে গৃহীত হবে।
পরিশেষে বইটি রচনা, সম্পাদনা ও অলংকরণে যাঁরা অবদান রেখেছেন তাঁদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই |
অক্টোবর ২০২৪ প্রফেসর ©, এ কে এম রিয়াজুল হাসান
চেয়ারম্যান
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ