Level: Secondary — Author: Writix
Level: Secondary • Duration: N/A
Author: Unknown
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক ২০১৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে
শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকরূপে নির্ধারিত
চারু ও কারুকলা সপ্তম শ্রেণি
২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য পরিমার্জিত
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ
Page 3
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড
৬৯-৭০, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
প্রকাশক কর্তৃক সর্বসত্ব সক্ষিত
প্রথম সংক্ষরণ রচনা ও সম্পাদনা:
- মুস্তাফা মনোয়ার
- হাশেম খান
- এডলিন মালাকার
- এ.এস.এম আতিকুল ইসলাম
- সন্জীব দাস
প্রকাশের তথ্য:
- প্রথম প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ২০১২
- পরিমার্জিত সংস্করণ: সেপ্টেম্বর ২০১৪
- পরিমার্জিত সংস্করণ: WET ২০২৪
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিনামূল্যে বিতরণের জন্য
Page 4
প্রসঙ্গ কথা
বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার উপযোগ বহুমাত্রিক। এটি শুধু জ্ঞান পরিবেশন নয়, দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার মাধ্যমে সমৃদ্ধ জাতিগঠন এই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য। একই সাথে মানবিক ও বিজ্ঞানমনস্ক সমাজগঠন নিশ্চিত করার প্রধান অবলম্বনও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। বর্তমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে জাতি হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে হলে আমাদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেম, মূল্যবোধ ও নৈতিকতার শক্তিতে উজ্জীবিত করে তোলাও গুরুত্বপূর্ণ।
শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড এবং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রাণ শিক্ষাক্রম। আর শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হলো পাঠ্যবই। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এর উদ্দেশ্যসমূহ সামনে রেখে গৃহীত হয়েছে একটি লক্ষ্যাভিসারী শিক্ষাক্রম। এর আলোকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) মানসম্পন্ন পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন, মুদ্রণ ও বিতরণের কাজটি নিষ্ঠার সাথে করে যাচ্ছে। সময়ের চাহিদা ও বাস্তবতার আলোকে শিক্ষাক্রম, পাঠ্যপুস্তক ও মূল্যায়নপদ্ধতির পরিবর্তন, পরিমার্জন ও পরিশোধনের কাজটিও এই প্রতিষ্ঠান করে থাকে।
বাংলাদেশের শিক্ষার স্তরবিন্যাসে মাধ্যমিক স্তরটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বইটি এই স্তরের শিক্ষার্থীদের বয়স, মানসপ্রবণতা ও কৌতূহলের সাথে সংগতিপূর্ণ এবং একইসাথে শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের সহায়ক। বিষয়জ্ঞানে সমৃদ্ধ শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞগণ বইটি রচনা ও সম্পাদনা করেছেন। আশা করি বইটি বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান পরিবেশনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মনন ও সৃজনের বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
চারু ও কারুকলা শিক্ষা শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রকৃতি, পরিবেশ, জীবন ও জীবনধারা ইত্যাদি সম্পর্কে পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। চারু ও কারুকলা শিক্ষা অন্যান্য বিষয়ে শিক্ষাগ্রহণে যেমন সাধারণ বিজ্ঞান, ভূগোল, চিকিৎসা বিজ্ঞান, প্রকৌশল বিজ্ঞান, স্থাপত্যকলাসহ অন্যান্য বিষয়ের প্রয়োগিক জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে। এ শিল্পশিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মধ্যে শৃঙ্খলাবোধ, পরিমিতিবোধ, সৌন্দর্যবোধ, দেশপ্রেম ও মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে এবং তারা হয়ে ওঠে সৃজনশীল।
পাঠ্যবই যাতে জবরদস্তিমূলক ও ক্লান্তিকর অনুষঙ্গ না হয়ে উঠে বরং আনন্দাশ্রয়ী হয়ে ওঠে, বইটি রচনার সময় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য-উপাদান সহযোগে বিষয়বস্ত উপস্থাপন করা হয়েছে। চেষ্টা করা হয়েছে বইটিকে যথাসম্ভব দুর্বোধ্যতামুক্ত ও সাবলীল ভাষায় লিখতে। ২০২৪ সালের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রয়োজনের নিরিখে পাঠ্যপুস্তকসমূহ পরিমার্জন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রণীত পাঠ্যপুস্তকের সর্বশেষ সংস্করণকে ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। বানানের ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমির প্রমিত বানানরীতি অনুসৃত হয়েছে। যথাযথ সতর্কতা অবলম্বনের পরেও তথ্য-উপাদান ও ভাষাগত কিছু ভুলক্রটি থেকে যাওয়া অসম্ভব। পরবর্তী সংস্করণে বইটিকে যথাসম্ভব ক্রুটিমুক্ত করার আন্তরিক প্রয়াস থাকবে। এই বইয়ের মানোন্নয়নে যে কোনো ধরনের যৌক্তিক পরামর্শ কৃতজ্ঞতার সাথে গৃহীত হবে।
পরিশেষে বইটি রচনা, সম্পাদনা ও অলংকরণে যাঁরা অবদান রেখেছেন তাঁদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
অক্টোবর ২০২৪
প্রফেসর ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান
চেয়ারম্যান
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ
Duration: N/A
XP Points: 0
Participants: 0