খৃষ্টধর্ম শিক্ষা চতুর্থ শ্রেণী

About This Course

জাতীয় শিক্ষাম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক ২০১৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে চতুর্থ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক রূপে নির্ধারিত।
 
Page 3
জাতীয় PST ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ
৬৯-৭০, মতিঝিল, বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
কর্তৃক প্রকাশিত
(প্রকাশক কর্তৃক সবস্বত সংরক্ষিত)
প্রথম সংস্করণ
রচনা ও সম্পাদনা
ফাদার আদম এস. পেরেরা, সিএসসি
সিস্টার শিখা এল. গমেজ, সিএসসি
সিস্টার মেরী দীন্তি, এসএমআরএ
শিল্প নির্দেশনা
হাশেম খান
ছবি ও অলংকরণ
ডমিয়ন নিউটন পিনারু
প্রথম মুদ্রণ: আগস্ট ২০১২
FE: ভুলাই ২০২৩
eS সংস্করণ: অক্টোবর ২০২৪
ডিজাইন
জাতীয় শিক্ষারুম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায়
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিনামূল্যে বিতরণের জন্য |
 
Page 4
প্রস্তুতি/কথা
প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব | প্রাথমিক শিক্ষা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমুখী ও পরিকল্পিত না হলে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাই দুর্বল হয়ে পড়ে। এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ২০১০ সালের শিক্ষানীতিতে প্রাথমিক স্তরকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের উন্নত দেশসমূহের সাথে সংগতি রেখে প্রাথমিক স্তরের পরিসর বৃদ্ধি এবং অন্তরক্তিমূলক করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্তর এবং ধর্ম-বর্ণ কিংবা লিঙ্গ পরিচয় কোনো শিশুর শিক্ষাগ্রহণের পথে যেন বাধা হয়ে না দাঁড়ায় এ বিষয়েও বিশেষ দৃষ্টি রাখা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষাকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) একটি সমস্থিত শিক্ষাক্রম গ্রহণ করেছে। এই শিক্ষাক্রমে একদিকে শিক্ষাবিজ্ঞানের ও উন্নত বিশ্বের শিক্ষাক্রম অনুসরণ করা হয়েছে, জীবনমুখী ও ফলপ্রসূ করার প্রয়াস বাস্তব ভিত্তি পেয়েছে। বিশ্বায়নের বাস্তবতায় শিশুদের মনোজাগতিক অবস্থা-কে শিক্ষাক্রমে বিশেষভাবে বিবেচনায় রাখা হয়েছে।
শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান-উপকরণ হলো উপকরণ। এই কথাটি মাথায় রেখে এনসিটিবি প্রাথমিক স্তরসহ প্রতিটি স্তর ও শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নে সবসময় সচেষ্ট রয়েছে। প্রতিটি রচনা ও সম্পাদনার ক্ষেত্রে শিক্ষাব্রহ্মের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। শিশুমনের বিচিত্র কৌতূহল এবং ধারণক্ষমতা সম্পর্কে রাখা হয়েছে সজাগ দৃষ্টি। শিখন-শেখানোর কার্যক্রম যেন একমুখী না হয়ে আনন্দের অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে সেদিকটি শিক্ষাক্রম এবং পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নে বিশেষভাবে দেওয়া হয়েছে। আশা করা যায়, প্রতিটি বই শিশুদের সুষম মনোদৈহিক বিকাশের সহায়ক হবে। একই সাথে ধর্ম মানুষের আবেগ ও সুন্দর অনুভূতি তৈরিতে সহায়তা করে। একজন আদর্শ মানুষ, আদর্শ নাগরিক এবং বিশ্বত্রাতৃত্ববোধ জাত করতে ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। আর এ কারণেই প্রাথমিক স্তরে এর প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি।
শিক্ষার মাধ্যমে নিজ ধর্ম সম্পর্কে জেনে এই ধর্মের মাধুর্য ও সৌন্দর্যে অনুপ্রাণিত হয়ে শিষ্টধর্মাবলম্বী শিশু শিক্ষার্থীরা সবাইকে ভালোবাসতে সচেষ্ট হবে—এটাই আমাদের একান্ত কাম্য।
বইটি রচনা, সম্পাদনা ও পরিমার্জনে যেসব বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষক নিবিড়ভাবে কাজ করেছেন তাঁদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। ২০২৪ সালের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রয়োজনের নিরিখে পাঠ্যপুস্তকসমূহ পরিমার্জন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রণীত পাঠ্যপুস্তকটিকে ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। সময় স্বল্পতার কারণে কিছু ভুলত্রুটি থেকে যেতে পারে। সুধিজনের কাছ থেকে যৌক্তিক পরামর্শ ও নির্দেশনা পেলে সেগুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নেওয়া হবে।
পরিশেষে বইটি যাদের জন্য, সেই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সার্বিক কল্যাণ কামনা করছি।
অক্টোবর ২০২৪
প্রফেসর ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান
চেয়ারম্যান