খৃষ্টধর্ম শিক্ষা পঞ্চম শ্রেণী

About This Course

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক ২০১৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকরূপে নির্ধারিত
শিক্ষা: Soest
পঞ্চম শ্রেণি
২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য পরিমার্জিত
খৃষ্টধর্ম শিক্ষা পঞ্চম শ্রেণী
 
Page 3
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ
৬৯-৭০, মতিঝিল, বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
কর্তৃক প্রকাশিত
(প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্ব সংরক্ষিত)
প্রথম সংস্করণ রচনা ও সম্পাদনা
ফাদার আদম এস. পেরেরা, সিএসসি
সিস্টার শিখা এল. গমেজ, সিএসসি
সিস্টার মেরী দীপ্তি, এসএমআরএ
শিল্প সম্পাদনা
হাশেম খান
ছবি ও অলংকরণ
ডমিয়ন নিউটন পিনারু
প্রথম মুদ্রণ: আগস্ট ২০১২
পুর্নমুদ্ধণ: অক্টোবর ২০২২
পরিমার্জিত সংস্করণ: অক্টোবর ২০২৪
ডিজাইন
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায়
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিনামূল্যে বিতরণের জন্য |
 
Page 4
প্রসঙ্গকথা
প্রাথমিক স্তর শিক্ষার ভিত্তিভূমি। প্রাথমিক শিক্ষা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমুখী ও পরিকল্পিত না হলে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাই দুর্বল হয়ে পড়ে। এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ২০১০ সালের শিক্ষানীতিতে প্রাথমিক শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের উন্নত দেশসমূহের সাথে সংগতি রেখে প্রাথমিক শিক্ষা পরিসর বৃদ্ধি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্তর এবং ধর্ম-বর্ণ কিংবা লৈঙ্গিক পরিচয় কোনো শিশুর শিক্ষাগ্রহণের পথে যেন বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, এ বিষয়েও বিশেষ দৃষ্টি রাখা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষাকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) একটি সমন্বিত শিক্ষাক্রম গ্রহণ করেছে। এই শিক্ষাক্রমে একদিকে শিক্ষাবিজ্ঞান ও উন্নত বিশ্বের শিক্ষাক্রম অনুসরণ করা হয়েছে, অন্যদিকে বাংলাদেশের চিরায়ত শিখন-শেখানো মূল্যবোধকেও গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষাকে অধিকতর জীবনমুখী ও ফলপ্রসূ করার প্রয়াস বাস্তব ভিত্তি পেয়েছে। বিশ্বায়নের বাস্তবতায় শিশুদের মনোজাগতিক অবস্থাকেও শিক্ষাক্রমে বিশেষভাবে বিবেচনায় রাখা হয়েছে।
শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান-উপকরণ হলো পাঠ্যপুস্তক। এই কথাটি মাথায় রেখে এনসিটিবি প্রাথমিক স্তরসহ প্রতিটি স্তর ও শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নে সবসময় সচেষ্ট রয়েছে। প্রতিটি পুস্তক রচনা ও সম্পাদনার ক্ষেত্রে শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। শিশুমনের বিচিত্র কৌতূহল এবং ধারণক্ষমতা সম্পর্কে রাখা হয়েছে সজাগ দৃষ্টি। শিখন-শেখানো কার্যক্রম যেন একমুখী ও ক্লান্তিকর না হয়ে আনন্দের অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে, সেদিকটি শিক্ষাক্রম এবং পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আশা করা যায়, প্রতিটি বই শিশুদের সুষম মনোদৈহিক বিকাশের সহায়ক হবে। একই সাথে তাদের কাজিকৃত দক্ষতা, অভিযোজন সক্ষমতা, দেশপ্রেম ও নৈতিক মূল্যবোধ অর্জনের পথকেও সুগম করবে।
ধর্ম মানুষের আবেগ ও সুন্দর অনুভূতি তৈরিতে সহায়তা করে। আর এ কারণেই প্রাথমিক স্তরে এর প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি। একজন মানুষের ধর্মীয় ও নৈতিক ভিত্তি দৃঢ়ভাবে গড়ে উঠে। বাংলাদেশে চারটি প্রধান ধর্মের মধ্যে এটি একটি। আদি পিতামাতা, পবিত্র বাইবেল, ইশ্বরের দশ আজ্ঞা, পাপ, মুক্তিদাতা যিশু, পবিত্র আত্মার অবতরণ, শ্রীষ্টমণ্ডলী প্রভৃতি বিষয় শ্রীষ্টধর্মাবলম্বী শিশুদের ধর্মীয় ও নৈতিক গুণাবলী গঠনে ভূমিকা রাখবে। শিক্ষার মাধ্যমে নিজ ধর্ম সম্পর্কে জেনে এই ধর্মের মাধুর্যে ও সৌন্দর্যে অনুপ্রাণিত হয়ে শ্রীষ্টধর্মাবলম্বী শিশু শিক্ষার্থীরা সবাইকে ভালোবাসতে সচেষ্ট হবে—এটাই আমাদের একান্ত কাম্য।
বইটি রচনা, সম্পাদনা ও পরিমার্জনে যেসব বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষক নিবিড়ভাবে কাজ করেছেন, তাঁদের বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই। কৃতজ্ঞতা জানাই তাঁদের প্রতিও, যাঁরা অলংকরণের মাধ্যমে বইটিকে শিশুদের জন্য চিত্তাকর্ষক করে তুলেছেন। ২০২৪ সালের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রয়োজনের নিরিখে পাঠ্যপুস্তকসমূহ পরিমার্জন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রণীত পাঠ্যপুস্তকটিকে ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। সময় স্বল্পতার কারণে কিছু ভুলত্রুটি থেকে যেতে পারে। সুধিজনের কাছ থেকে যৌক্তিক পরামর্শ ও নির্দেশনা পেলে সেগুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নেওয়া হবে।
পরিশেষে বইটি যাদের জন্য, সেই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সার্বিক কল্যাণ কামনা করছি। ২০২৪
প্রফেসর ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান
চেয়ারম্যান
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ