ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি

About This Course

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক ২০১৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে
ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকরুপে নির্ধারিত

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি
38 শ্রেণি

২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য পরিমার্জিত

জাতীয় শিক্ষাকম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ

Extracted Text from Image 3
Detected Language: The language of the provided text is bengali.
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড
৬৯-৭০, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
কর্তৃক প্রকাশিত

[ প্রকাশক কর্তৃক সর্বন্বতৃ সংরক্ষিত |

প্রথম সংক্ষরণ রচনা ও সম্পাদনা
অধ্যাপক ড. মো. আহ্সান আলী
অধ্যাপক গণেশ সন্পেশ
অধ্যাপক ড. লৌরভ সিকদার
হাসান আল শাফী
স্বাগতম চাকমা

প্রথম প্রকাশ : মেশ্টেম্বর ২০১২
পত্রিমার্জিত সংস্করণ : সেপ্টেম্বর ২০১৪
পরিমার্জিত সংস্করণ : অক্টোবর ২০২৪

Extracted Text from Image 4
Detected Language: The language of the provided text is bengali.
প্রসঙ্গ কথা

বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার উপযোগ বন্ুমাত্রিক | শুধু জ্ঞান পরিবেশন নয়, দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার
মাধামে সমৃদ্ধ জাতিগঠন এই শিক্ষার মুল উদ্দেশা। একই সাথে মানবিক ও বিজ্ঞানমনক্ক সমাজগঠন নিশ্চিত
করার প্রধান অবলম্বনও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা | বর্তমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে জাতি হিসেবে মাথা তুলে
দাঁড়াতে হলে আমাদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা প্রয়োজন | এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেম, মূল্যবোধ
ও নৈতিকতার শক্তিতে উজ্জীবিত করে তোলাও জরুরি |

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড আর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রাণ শিক্ষাক্রম | আর শিক্ষাক্রম বান্তবায়নের সবচেয়ে oP Ey
উপকরণ হলো পাঠ্যবই | জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এর উদ্দেশ্যসমূহ সামনে রেখে গৃহীত হয়েছে একটি
লক্ষ্যাভিসারী শিক্ষাক্রম | এর আলোকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠাপুন্তক বোর্ড (এনসিটিবি) মানসম্পন্ন পাঠাপুন্তক
প্রণয়ন, মুদ্বণ ও বিতরণের কাজটি নিষ্ঠার সাথে করে যাচ্ছে | সময়ের চাহিদা ও বান্ধবতার আলোকে শিক্ষাক্রম ,
পাঠ্যপুস্তক ও মূল্যায়নপদ্ধতির পরিবর্তন, পরিমার্জন ও পরিশোধনের কাজটিও এই প্রতিষ্ঠান করে থাকে।

বাংলাদেশের শিক্ষার স্তরবিন্যাসে মাধ্যমিক স্তরটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বইটি এই স্তরের শিক্ষার্থীদের বয়স,
মানসপ্রবণতা ও কৌতৃহলের সাথে সংগতিপূর্ণ এবং একইসাথে শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের সহায়ক।
বিষয়জ্ঞানে সমৃদ্ধ শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞগণ বইটি রচনা ও সম্পাদনা করেছেন | আশা করি বইটি বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান
পরিবেশনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মনন ও সৃজনের বিকাশে বিশেষ ভুমিকা রাখবে।

বাংলাদেশে বসবাসকারী বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর সমাজ ও সংস্কৃতি অন্যান্য জনগোষ্ঠী থেকে fey |
এঁতিহ্যের অংশ হিসেবে এসকল নৃগোষ্ঠীর সমাজ ও সংস্কৃতি আমাদের গৌরব বহন করে। কিন্তু বৃহৎ জনগোষ্ঠীর
মানুষ আমাদের এ গৌরবময় সমাজ সংস্কৃতি সম্পর্কে কমই জানে | এ বিষয়টির উপর লক্ষ্য রেখেই পরিমার্জিত
শিক্ষাক্রম ২০১২-এর আলোকে প্রথমবারের মতো প্রণয়ন করা হয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক
পাঠ্যপুস্তক | পাঠ্যপুস্তকটিতে নৃগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক নানা বিষয়বস্তু তুলে ধরা হয়েছে। আশা
করা যায়, শিক্ষার্থীরা এসব বিষয়বন্ত্র অনুশীলনের মধ্য দিয়ে বিশেষ সংস্কৃতির অধিকারী জনাগোষ্ঠীর ভাষা ও
সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে।

সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়েছে | সর্বশেষ তথ্া-উপাত্র সহযোগে বিষয়বন্ধ উপস্থাপন করা হয়েছে | চেষ্টা করা
হয়েছে বইটিকে যথাসম্ভব দুর্বোধ্যতামুক্ত ও সাবলীল ভাঘায় লিখতে | ২০২৪ সালের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে
প্রয়োজনের নিরিখে পাঠাপুন্তকসমূহ পরিমার্জন করা হয়েছে | এক্ষেত্রে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রণীত
পাঠাপুস্তকের সর্বশেষ সংক্করণকে ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। বানানের ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমির প্রমিত
বানানরীতি অনুসৃত হয়েছে। যথাযথ সতর্কতা অবলম্বনের পরেও তথ্য-উপান্ত ও ভাষাগত কিছু ভূলক্রটি থেকে
যাওয়া অসম্ভব AT | পরবর্তী সংক্ষরণে বইটিকে যথাসম্ভব ক্রটিমুক্ত করার আন্তরিক প্রয়াস থাকবে | এই বইয়ের
মানোন্নয়নে যে কোনো ধরনের যৌক্তিক পরামর্শ কৃতজ্ঞতার সাথে গৃহীত হবে।

পরিশেষে বইটি রচনা, সম্পাদনা ও অলংকরণে যাঁরা অবদান রোখেছেন তাঁদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই |

অক্টোবর ২০২৪ প্রফেসর ©. এ কে এম রিয়াজুল হাসান

চেয়ারম্যান
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ